বেনাপোল বন্দরে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় আনসার বাহিনী।


Milon Hossain প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২৫, ৩:৫২ অপরাহ্ন /
বেনাপোল বন্দরে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় আনসার বাহিনী।

মিলন হোসেন বেনাপোল,
বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তায়  দুইশতাধিক  আনসার সদস‍্য কর্মরত আছে। উক্ত আনসার সদস‍্যরা নিষ্ঠার সাথে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।সম্প্রতি আনসার সদস‍্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বেনাপোল  স্থলবন্দরের বন্দরের বিভিন্ন সেডে রাখা  আমদানি ও রপ্তানি কৃত পন‍্য চুরি শূন‍্যের কোটায় নেমে এসেছে।সেপ্টেম্বর -২৫ এর শেষ সপ্তাহে ২৪ নং শেডে ভূষির গুদামে আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক আনসার সদস‍্যের প্রচেষ্টায় সহজে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে রক্ষা পেয়েছে কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ। যার সংবাদ গনমাধ‍্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। ভারত থেকে পন‍্য আমদানি করে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে নিয়ে আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর এই সকল পন‍্য ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পর  সম্পূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে বন্দর ও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ । আনসার সদস‍্যরা শুধুমাত্র বন্দরের এসব পন‍্য ও স্থলবন্দরের  নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। কিন্তু গত মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পোশাক ও কসমেটিকসসহ সহ একটি ট্রাক বেনাপোল ট্রাক টার্মিনালে বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর একটি পক্ষ সুকৌশলে দেআনসার বাহিনীর কয়েকজন সদস‍্যের উপর এর দায় চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা নিজেদের দায় আনসাদের উপর চাপিয়ে অসত‍্য তথ‍্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে।
যখন দেশের বিভিন্ন কেপিআই গুলোতে আগ্নি সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষার জন‍্য সকল আনসার সদস‍্যদের সর্তক অবস্থানে রাখা হয়েছে  এবং বেনাপোল স্থলবন্দরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে একটি পক্ষ আনসার সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিনা ব‍্যাবসায়ী ও স্থানীয়  জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দেশী ও বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আনসার সদস‍্যরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আনসার ক্যাম্প ইনচার্জ পিসি অসিত কুমার বিশ্বাস বলেন বন্দরের গেটে ডিউটির দায়িত্ব পালন করেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।ভারতীয় গাড়ি বের হওয়ার সময় এন্ট্রি পাশ ও বাংলা গাড়ি বের হওয়ার সময় গেট পাশ দেখা হয়।এছাড়া কি পন্য আছে কতো টাকা রাজস্ব হলো এটা তো আনসারের কাজ না।তাহলে রাজস্ব ফাঁকির সাথে আনসার বাহিনীর সদস্য বা পিসি কি ভাবে জড়িত থাকবে।তিনি আরো বলেন আনসার সদস্যরা সব সময় বেনাপোল বন্দরে সরকারের রাখা শত শত কোটি টাকার পণ্য যাতে নষ্ট বা চুরি না হয় সেদিকে সজাগ রয়েছে।

কার্গো ইয়ার্ড এ দায়িত্ব থাকা পিসি ইয়ামিন কবির বলেন ভারত থেকে পূন্যবাহী ট্রাক কার্গো ইয়ার্ড এ প্রবেশের সময় বন্দর স্কেল ও কাস্টমসে স্কানিং করার পর পন্যটি বের হওয়ার সময় গেটে এন্ট্রি পাশ চেক করেন একজন বন্দরের অফিসার ও সাথে থাকেন আনসার সদস্য। তাহলে রাজস্ব ফাঁকির সাথে আনসার সদস্য বা পিসি কি ভাবে জড়িত থাকবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পিসি এইচ এম হেলাল উজ্জামান বলেন আমি গত একটি বছর সুনামের সাথে বেনাপোল স্থলবন্দরে চাকরি করেছি ।থাকা কালীন গত বছর অক্টোব ২০২৪ খ্রিঃ ৪৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি, গত ০৪ /০৭/২০২৫ ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা সাইবেরিয়ান ভিসাযুক্ত ভারতীয় নাগরিক বোচারাম প্রামানিক কে ২০ টি অবৈধ পাসপোর্ট সহ আটক করে মামলা দেয়।
গত ২৯/০৭/২০২৫ ইন বেনাপোল বন্দর থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছি। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত আছি। বেনাপোল স্থল বন্দর ক্যাম্পের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই।

এদিকে এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন রাজস্ব ফাঁকির সাথে জড়িত বড় বড় কর্তারা।আর দোষ দিয়ে থাকেন আনসার বাহিনীকে।আনসার বাহিনী রোদ বৃষ্টিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য বন্দরে ডিউটি করে থাকেন।তাই ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আনসার বাহিনীর সুনাম নষ্ট যাতে না হয় এরকম কিছু না করার জন্য।