বেনাপোল স্থলবন্দরে আল আরাফাত সিকিউরিটির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ।


Milon Hossain প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২৫, ৭:৪৮ অপরাহ্ন /
বেনাপোল স্থলবন্দরে আল আরাফাত সিকিউরিটির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ।

মিলন হোসেন বেনাপোল,
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে রাখা হয় কোটি কোটি টাকা আমদানি পণ্য।সেই পন্যের ডিউটি করে থাকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আল আরাফাত সিকিউরিটি গার্ড বর্তমানে ১৪৩ জন কর্মরত আছেন।এদের ইনচার্জ হিসেবে রয়েছেন আল আমিন শিকদার।তার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজারো অভিযোগ যেমন নিয়োগ বানিজ্য,ছুটি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ,বন্দরের গেট ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল গেট থেকে টাকা তুলা সহ নানার অভিযোগ ।

আগে যখন পিমা সিকিউরিটি গার্ড ছিল তখনও আল আমিন শিকদার ইনচার্জ হিসেবে ছিলো।বর্তমান আল আরাফাত আসার পরেও মোটা অংকের টাকা বিনিময় আল আমিন শিকদার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। সাথে রেখেছেন পুরাতন সব সুপারভাইজারকে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর আগে যে সমস্ত পিমা সিকিউরিটি গার্ড ছিল তাদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাদ দেওয়া শুরু করেন।যাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তার স্থানে নতুন যাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার কাছ নেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা।
আবার তাকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে তুমি যদি টাকা কথা কাউকে বলো তাহলে তোমার চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
একজন সিকিউরিটির বেতন মাসে ৯ হাজার টাকা।যা প্রতিদিন ৩০০ টাকা হয়।যদি কেউ ছুটিতে থাকে তাহলে যে কয়দিন ছুটিতে থাকবে সেই কয় দিনের টাকা তাকে দেওয়া হয় না।টাকাটা চলে যায় আল আমিন শিকদার ও সুপারভাইজারদের পকেটে। বন্দরে মোট গেট আছে ১৭ টি প্রতিটি গেট থেকে টাকা উঠানো হয়।এই টাকাটা সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ইনচার্জ আল আমিন শিকদার ও সুপারভাইজার ভাগ করে নিয়ে থাকে।

ইনচার্জ ও সুপারভাইজাররা হয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকা মালিক রয়েছে শত শত বিঘা জমি,ব্যাংক ব্যালেন্স।একজন সুপারভাইজার সাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাশে কয়েক দিন আগে ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছেন জমি।এরা ৯ হাজার টাকার বেতনে চাকরি করেন তাহলে এতো সম্পত্তির মালিক কি ভাবে হয়েছে।যা দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে সব বেড়িয়ে পড়বে।
এমন সুপারভাইজার আছে আওয়ামীলীগের আমলে আত্মীয়দের খমতা দেখিয়ে পিমা সিকিউরিটিকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছিলো। এখনও তারা কর্মরত আছেন। যা স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সব বেড়িয়ে পড়বে।অনেক সুপারভাইজার নিজেতো চাকরি করছেন ১২ বছর ধরে আবার নিজের মামু খালুকে এনেও চাকরি দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আল আরাফাত সিকিউরিটির স্টাফ বলেন আল আমিন শিকদার ও সুপারভাইজাররা মিলে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে লোক নিয়োগ করে থাকে। যাদের কে নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের কাজ থেকে ২০/৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।পরে তারা টাকাটা ভাগ বাটোয়ারা করে থাকে।কেউ ছুটি গেলো প্রতিদিন ৩০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়।প্রতিদিন প্রায় ১০/১৫ জন ছুটিতে থাকে।তাতে মাসে ছুটি খ্যাত থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা আল আমিন শিকদার ও সুপারভাইজারদের পকেটে চলে যায়।

সে আরো বলেন তানিয়া নামে এক মেয়েকে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে চাকরি দেওয়া হয়।সে গরীব হওয়ার কারনে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা প্রতিরোধ করেন।বাকি ১০ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিবেন।কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকাটা দিতে না পারায় তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়।চাকরি থেকে বের করে দিলেও আজো পর্যন্ত তার সেই টাকাটা ফেরত দেওয়া হয়নি।তানিয়া একটি এনজিও থেকে সুপারভাইজার আসাদুল এর মাধ্যমে টাকাটা তুলে চাকরির জন্য দিয়েছিল।
এসব বিষয়ে বন্দরের পরিচালক উপ সচিব শামীম হোসেন রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে আল আরাফাত সিকিউরিটি গার্ড ইনচার্জ আল আমিন শিকদারকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪৩ মিনিটের সময় ফোন দিলে তিনি বলেন গেট থেকে কোন টাকা তুলা হচ্ছে না আর তানিয়ার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।